Description
এটি Cholo Bangladesh Tours এর একটি ইভেন্ট
কেওক্রাডং বাংলাদেশের অন্যতম চূড়া যার উচ্চতা প্রায় ৩২৩৫ফুট। কেওক্রাডং শব্দটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে ‘পাথর’ , ক্রা মানে ‘পাহাড়’ আর এবং ডং মানে ‘সবচেয়ে উঁচু’। অর্থাৎ কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়।
ট্যুরের ব্যাপ্তিকাল | ট্যুর ফি | অগ্রিম ফি | যোগাযোগ |
২ রাত ৩ দিন | ৫৯৯৯ টাকা জন প্রতি | ৩৫০০ টাকা জন প্রতি | 01624502265 |
** কনফার্ম করার জন্য ৩৫০০/- টাকা অগ্রিম পাঠাতে হবে।
বিকাশ হলে খরচ সহ ৩৫৭০ টাকা(বুকিং মানি অফেরতযোগ্য)
এছাড়া বুকিং এর জন্য সরাসরি কল কল করুনঃ 01624502265
** ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনাঃ
দিন–০ঃ ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান যাত্রা।
দিন–১ঃ বান্দরবান নেমে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নেবো। নাস্তা শেষ করে বান্দরবান থেকে জীপে করে রূমা বাজার। সেখান থেকে আর্মির প্রসিডিউর সেরে চান্দের গাড়িতে বগালেক চলে যাবো।লেকের পানিতে মগ পদ্ধতিতে গোছল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেবো।প্রথম দিন মূলত রিলাক্স করে লেটানো। লেকের পাড় এবং রাতে পূর্নিমার আলোতে আড্ডা গান খোশ গল্প হবে।
বগালেক রাত্রিযাপন প্রথম রাত।
দিন–২ঃ সকালে উঠতে হবে।সকালে নাস্তা সেরে ৭ টার মধ্যে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হবে।এইদিন মূলত হাঁটতে হবে ৪-৫ ঘন্টা।পাহাড়ি রাস্তায় চলতে চলতে ঝর্ণা,ঝিরি পথ, উঁচু নিচু পাহাড় পারি দিয়ে দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যাবো কেওক্রাডং ।সবাই রুম বুঝে নেবো তারপর এক বালতি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোছল করে ফ্রেশ হয়ে নেবো।
দুপুরের খাবার কেওক্রাডং এ খাবো ।খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিবো,বিকেলে হ্যালিপ্যাডে গ্রুপ ছবি তুলবো।
তারপর সন্ধ্যায় গল্পগুজব,আড্ডা, মাস্তি, গান চলবে।
দিন-৩ঃ সকালে ঘুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রওয়ানা দেবো। দার্জেলিং পাড়ায় এসে সকালের নাস্তা সেরে বগা লেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা । বগালেক যাত্রা বিরতি দিয়ে রুমা এসে লাঞ্চ করবো। তারপর বান্দরবানের উদ্দেশ্যে বের রওয়ানা। চলতি পথে চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নিলাচল, ঘুরে আসব ।
রাতের খাবার খেয়ে ১০.৩০ মিনিটের বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
পরের দিন সকালে ইনশাল্লাহ ঢাকায় থাকবো।
***কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপার গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
* এটি একটি ট্রেকিং ট্রিপ। এখানে হাটতে হবে অনেক। বগালেক থেকে কেওক্রাডং উঠতে ৪-৫ ঘন্টা লাগতে পারে হাটার উপর নির্ভর করে। স্থানীয় পাহাড়িদের এ পথটি পর করতে ৩ ঘন্টার বেশি লাগে না।
* আপনাকে মোবাইল নেটওয়ার্কের এর বাইরে থাকতে হবে এক দিনেরও বেশি সময়। তবে কোথাও কোথাও রবি, এয়ারটেল
* এখানে তিন বেলা খাবার পাবেন, কোন দোকান থাকবে না, যেগুলো আছে সেখানেও খুব সামান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তাই নিজের ব্যাগ এ কিছু শুকনা খাবার রাখবেন।
*******
—————————————
** এই টাকার মধ্যে যা যা থাকবেঃ
===================
১. ঢাকা – বান্দরবান বাসের টিকিট (যাওয়া-আসা নন এসি)
২. চান্দের গাড়ি (যাওয়া-আসা)
৩. ৯ বেলা খাবার ( ট্রেকিং চলাকালীন দুপুরের খাবার মিস হতে পারে)
৪. বগালেক এবং কেওক্রাডং চূড়ায় কটেজে থাকা
৫. গাইড সেবা
** যা থাকছেনাঃ
– কোন ব্যক্তিগত খরচ
– কোন ঔষধ
– কোন প্রকার বীমা
** যা সাথে নেওয়া উচিতঃ
ভ্রমণের সময় যত কম জিনিস নেয়া যায়, তত ভালো। যেহেতু ট্রেকিং এর পুরোটা পথ আপনাকে হেটে যেতে হবে এবং ব্যাগটাও আপনাকে ক্যারি করতে হবে তাই যথাসম্ভব হালকা ব্যাগ নেয়ার চেষ্টা করবেন।
– NID কার্ডের ফটোকপি
– টেলিটক/রবি/এয়ারটেল সিম
– মশা থেকে বাঁচার জন্য অডোমস
– গামছা নিবেন যেন রোদে মাথায় ঢেকে হাঁটা যায়
– সানগ্লাস, হ্যাট, সান ক্রিম (যদি অতিরিক্ত ত্বক সচেতন হন)
– প্রয়োজনীয় ঔষধ
– চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক
– এংকলেট
– ট্র্যাকিং জুতা
– পলিথিন
– ব্যাগের রেইন কভার
== ট্র্যাকিং/হাটার সময় সাথে কিছু শুকনা খাবার যেমন কিসমিস,বাদাম, খেজুর রাখবেন। সাথে নিজের পানির বোতল নিজেকেই বহন করতে হবে।
*******কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপার গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
* যেহেতু এখানে অনেক নতুন মানুষ এর সাথে মিলে মিশে ট্রিপটি হবে,তাই সবার সাথে এডজাস্ট করা এবং কমপ্রোমাইজ করার মানসিকতা নিয়ে এই ট্রিপে যাবেন।
**শর্তসমুহঃ
– প্রথমেই একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
– খুব হালকা ব্যাগ প্যাকিং করতে হবে। ব্যাগ ভারী হলে ট্যুরে যেয়ে প্যারা খাবেন। আর নিজের ব্যাগ নিজেকেই ক্যারি করতে হবে। পোর্টার দ্বারা ব্যাগ ক্যারি করালে পোর্টারের আলাদা চার্জ আপনাকে বহন করতে হবে।
– যেখানে সেখানে ময়লা, শুকনো খাবারের প্যাকেট, পাস্টিক বোতল/জার, কলার খোসা, ইত্যাদি ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিটি জায়গা আমাদের নিজেদের, তাই তার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। যেন ট্যুরিসমের কোন ক্ষতি না হয়, সেইটা সর্বোচ্চ বিবেচ্য বিষয় যেন হয়। আমরা আমাদের প্রকৃতিকে সুস্থ রাখার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর।
– ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
– ভ্রমণ সুন্দর মত পরিচালনা করার জন্য সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে।
– আমরা শালীনতার মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
– অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
– স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না। নতুন কারো সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ট্রিপ হোস্টের সহায়তা নিতে হবে।
– কোনভাবেই কোন প্রকার মাদক সেবন বা সাথে বহন করা যাবে না। সাথে পাওয়া গেলে তাকে বা তাদেরকে তৎক্ষণাৎ ট্রিপ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে গ্রুপের অন্য সবার সাথে স্বীদ্ধান্ত নিয়ে।
– দলনেতার কথা নিজের প্রয়োজনেই মেনে নিতে হবে।
– বাসের সিট বণ্টন করা হবে এডভান্স পেমেন্টের ভিত্তিতে। অর্থাৎ যে আগে পেমেন্ট করবে সে অগ্রাধিকার পাবে।
** এই গ্রুপ সম্পূর্ণ ভ্রমণপিপাসুদের গ্রুপ। এখানে কোন প্রকার অশ্লীলতার কোন রকম সুযোগ নেই। কোন রকম অসৎ উদ্দেশ্যে যদি কেও আমাদের সাথে ভ্রমণে যান, সেটি বুঝে যেতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগে না। এবং সেই মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নিবো।
** ভ্রমণের জন্য যে কেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ছেলে/ মেয়ে সকলেই যেতে পারবেন, তবে অবশ্যই পুরোটা পড়ে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কনফার্ম করতে হবে।